খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) ক্যাম্পাস যেনো একটুকরো ফুলের রাজ্য। যেদিকেই তাকাবেন হরেক রকমের ফুল আর ফুল। ফুলের গন্ধে মাতোয়ারা পুরো ক্যাম্পাস। লাল, নীল, হলুদ ফুলে ভরে উঠেছে পুরো ক্যাম্পাস। এ যেনো বাহারি ফুলের মেলা। প্রতিবছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাস আসলেই খুবি ফুলের রাজ্য পরিণত হয়।
ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থানে রোপণ করা হয়েছে হরেক রকমের ফুলগাছ। গড়ে তোলা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন বাগান। নানা প্রকারের গাঁদা, আকাশি সাদা স্নোবল, সালভিয়া, দোপাটি, ক্যালেন্ডোলা, দায়েনথাঁচ, ফ্লোগর্স, ইন্টালিয়াম, স্নাকড্রাগন, পেনজি, কারিয়াফছি, ভারবিনা, পিটুনিয়া, স্টার গোল্ড, মৌচন্ডা, পানচাটিয়া, অ্যালমন্ডা, গ্লাডিয়া, তালপাম্প, চন্দ্রমল্লিকা, ইনকা গাঁদা, ছোট চায়না গাঁদা, মোরগঝুঁঁটি, কসমস, জুঁই, চামেলি।
এছাড়া আছে টগর, ভারভিনা, জেনিয়া, পিটোনিয়া, সালভিয়া, বেলি, গোলাপ, জারবেরা, সাইকাস, ক্রিসমাস, জবা, রঙ্গন, রজনীগন্ধা, পিয়াজ ফুল এমনকি কয়েকটি গাছে পলাশ ফুলও শোভা পাচ্ছে। পলাশের ডাল ভরে গেছে ফুলে। বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে মৌ মৌ গন্ধ। মৌমাছিরাও ব্যস্ত মধু আহরণে।
ক্যাম্পাসের এ বাহারি রকমের ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা। নজর বাড়ছে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসা ফুলপ্রেমীদের। এসব জায়গায় বসে ও দাড়িয়ে মনের সুখে ছবি ও সেলফি তুলে সময় পার করছেন তারা।
নর্দানের শিক্ষার্থী লিমা বলেন, এখানে আশার পরে অনেক ধরনের ফুলন দেখতে পাচ্ছি । তবে গাধা ফুল বেশি আছে। বসন্তের সময় সবাই গাধা বেশি ইউজ করে। মেয়েরা খোপায় ইউজ করে, হাতে গাজড়া হিসেবে ইউজ করে। তো আমার কাছে খুবই ভালো লাগছে। খুলনার নাগরীক হিসেবে আমি ঘুরতে আসি। যদিও আমি খুলনা ভার্সিটির স্টুডেন্ট না। আমি নর্থ ওয়েস্টার্নের স্টুডেন্ট। খুলনা ভার্সিটিতে আসলে ভালো লাগে, খোলা মেলা পরিবেশ ফুল গাছ আছে আর বসন্তের সময় এতো ফুল ভালো লাগে।
জামাল উদ্দিন বলেন, স্বরস্বতি পূজা উপলক্ষ্যে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি। ফুল ও পরিবেশ দেখে ভালো লাগছে। এখানে অনেক প্রকারের সুন্দর সুন্দর ফুল আছে। আজকে এসে খুব আনন্দ পেয়েছি।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী আল মামুন বলেন, ফুল কিন্তু সাধারণত শান্তির প্রতীক, ভালোবাসার প্রতীক, দুঃখের প্রতীক। ফুল মানুষকে আনন্দ দেয়, খুলনা বিশ্ববিদলায়ের মেইন গেট থেকে ঢুকলেই গাধা ফুলের যে সৌরভ চারদিকে মৌ মৌ করে। মানুষের মন খারাপ থাকলে ফুলের সৌরভে ভালো হয়ে যাবে, যে কোনো ভাবে। ফুল মানুষের শুধু মন ভালো করে তাই না, অনেক ধরনের ফুলের পাপড়ি দিয়ে বিভিন্ন ওষুধ তৈরি করা হয়। এখানে গাধা, ডালিয়া, গোলাপ এবং পলাস আছে। পরিবেশটা খুবই সুন্দর। অনেকেই এখানে আসেন ঘুরতে।
খুলনা গেজেট/এম মিলন